তিনি ২০১৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেন।
ট্রাম্প ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতি হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুনর্নির্বাচনের জন্য আবেদন করেছিলেন।[২২১] দায়িত্ব গ্রহণের এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে তিনি তার প্রথম পুনর্নির্বাচনী সমাবেশ আয়োজন করেন[২২২] এবং আগস্ট ২০২০-এ আনুষ্ঠানিকভাবে রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন লাভ করেন।[২২৩] ট্রাম্পের প্রচারণা অপরাধের ওপর কেন্দ্রীভূত ছিল, দাবি করা হয়েছিল যে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেন জয়ী হলে শহরগুলো আইনশৃঙ্খলাহীনতায় নিমজ্জিত হবে।[২২৪] তিনি বারবার বাইডেনের অবস্থান ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন[২২৫][২২৬] এবং বর্ণবৈষম্যমূলক বক্তব্য ব্যবহার করেছেন।[২২৭] ২০২০ সালের শুরুর দিক থেকে, ট্রাম্প নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ ছড়াতে শুরু করেন, প্রমাণ ছাড়াই দাবি করেন যে নির্বাচনে কারচুপি হবে এবং ডাক-ভোটের ব্যাপক ব্যবহার বৃহৎ নির্বাচনী জালিয়াতির জন্ম দেবে।[২২৮][২২৯] তিনি ইউএস পোস্টাল সার্ভিসের তহবিল বন্ধ করে দেন, বলেছিলেন যে তিনি ডাক-ভোট বৃদ্ধি রোধ করতে চান।[২৩০] তিনি বারবার বলতে অস্বীকার করেছেন যে হেরে গেলে ফলাফল মেনে নেবেন কিনা বা শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবেন কিনা।[২৩১][২৩২]
ছবির ক্যাপশান, নিজস্ব হেলিকপ্টারে সওয়ার ডোনাল্ড ট্রাম্প সংবাদপত্র পড়ায় ব্যস্ত।
মাদক চক্র বা কার্টেলগুলোকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করা হবে এসব নির্বাহী আদেশে।
ট্রাম্প দুই বছর অব্দি ফোর্ডহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছিলেন। ট্রাম্প পেন্সিল্ভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় অধীন হোয়ার্টন স্কুল অব বিজনেসেও অধ্যয়ন করেছেন। হোয়ার্টনে অধ্যয়নের সময় ট্রাম্প তার বাবার প্রতিষ্ঠান "এলিজাবেথ ট্রাম্প অ্যান্ড সান" কোম্পানীতে কাজ করতেন। ট্রাম্প ১৯৬৮ সালে হোয়ার্টন বিজনেস স্কুল থেকে অর্থনীতির উপর স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।[৩১][৩২]
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারাভিযানের সফর বিতর্কে মোড়া ছিল। যদিও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী তথা ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে ভোটে পরাজিত করেন তিনি।
বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার বৃদ্ধির বিশ্বব্যাংকের আশঙ্কাকে কীভাবে দেখছেন অর্থনীতিবিদেরা
ডেমোক্র্যাটিক (২০০১-০৯;[১] ১৯৮৭ পর্যন্ত[২])
ট্রাম্পের বিপুল সংখ্যক সমর্থক সেখানে জড়ো হন।
ধর্ম নিয়ে ট্রাম্পের বহু দৃঢ় read more বাগাড়ম্বরপূর্ণ বক্তব্য রয়েছে। সন্ত্রাস এবং মুসলিম সম্প্রদায়কে একাত্ম করে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এমনকি বেন কার্সন এবং টেড ক্রুজের খ্রীষ্ট ধর্মে তাদের বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।[৫৬] এছাড়াও তিনি যুদ্ধরত মার্কিন সেনা সদস্যদের দেখাশোনা,[৫৭] যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীকে সুদৃঢ়করণ[৫৮] এবং বাণিজ্যিক চুক্তিগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিকদের অনুকূলে আনার বিষয় নিয়েও বক্তব্য রেখেছিলেন।[৫৯]
ট্রাম্প মডেল ইভানা জেলনিকোভাকে এপ্রিল ৭, ১৯৭৭ সালে নিউ ইয়র্ক শহরের মার্বেল কলেজিয়েট চার্চে বিয়ে করেন।[৩২৭] তাদের তিন সন্তান: ডোনাল্ড ট্রাম্প, জুনিয়র (জন্ম: ডিসেম্বর ৩১, ১৯৭৭) এবং এরিক ট্রাম্প (জন্ম: জানুয়ারী ৬, ১৯৮৪) এবং কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্প (জন্ম: অক্টোবর ৩০, ১৯৮১) রয়েছে। ট্রাম্পের স্ত্রী ইভানা ১৯৮৮ সালে মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন।[৩২৮] Bangladesh তার স্ত্রী ইভানা ট্রাম্প ১৯৮৯ সালে স্পাই ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে "দ্য ট্রাম্প" হিসেবে সম্বোধন করার পর থেকেই ট্রাম্পের এই নামটি ব্যাপকভাবে মিডিয়া জগতে আলোড়ন ফেলে।[৩২৯] ১৯৯০ এর প্রথম দিকে ইভানার সাথে ট্রাম্পের বৈবাহিক সম্পর্ক সামান্য উত্থান-পতন দেখা দেয় কেননা সেই সময় ট্রাম্প অভিনেত্রী মার্লা ম্যাপলসের সাথে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পরেছিল।[৩৩০] শেষে ১৯৯১ সালে ইভানা আর ট্রাম্পের বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটে।[৩৩১]
ছবির ক্যাপশান, প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী কমালা হ্যারিস।
ট্রাম্পের ৩য় পুত্র এরিক (দ্য ট্রাম্প অর্গানিজেশ্যানের নির্বাহি সহ-সভাপতি) ট্রাম্প জীবনে তিনবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন।[৩২৫] তার ব্যক্তিগতজীবন ব্যাপকভাবে মিডিয়া কাভারেজ অর্জন করেছিল।[৩২৬]
ইতিহাসের সাক্ষী: ১৯৪৭ সালে কীভাবে দু'ভাগ হয়েছিল কাশ্মীর